অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের হামেদান প্রদেশের রয়েছে ১১০০’রও বেশি গ্রাম। এর মধ্যে ‘ওয়ারকানে’ গ্রামটি অত্যন্ত দর্শনীয় ও পর্যটকদের স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো গ্রামটি রয়েছে ফার্সি, কূর্দি ও আযেরী ভাষাভাষী মানুষ। তাদের প্রধান পেশা কৃষিকাজ ও পশুপালন।
হামেদানের ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ‘ওয়ারকানে’ গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ২৫০ মিটার উঁচু। আকাশে হেলান দেয়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই গ্রাম প্রাকৃতিক বিস্ময়ের সমারোহে যেন স্বর্গীয় এক নিকুঞ্জ।
‘ওয়ারকানে’ কূর্দী শব্দ। ওয়ার অর্থ পাশ বা কিনার, আর কানে অর্থ ঝর্ণা। তাই ‘ওয়ারকানে’ শব্দের অর্থ হলে পানি বা ঝর্ণার কিনার।
‘ওয়ারকানে’র অপরূপ প্রাকৃতিক শোভা বৃদ্ধি করেছে আশপাশের ‘খান’, ‘তাখতে সাঙ্গ’, ‘যেন্’ ও ‘সে বোলাগ্ব’ নামের পাহাড়ী উপত্যকাগুলো। পর্বতসংকুল এ গ্রামে রয়েছে কয়েকটি মৌসুমী ঝর্ণা বা ছোট নদী। ‘ওয়ারকানে’র পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ‘আরযান ফার্দ’ নামের একটি নদী। ভূ-গর্ভস্থ কয়েকটি খালকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে ‘ওয়ারকানে’ গ্রাম।
‘ওয়ারকানে’ গ্রামের প্রতিটি সড়ক এবং অলি-গলি পাথরের নির্মিত হওয়ায় আপনি পাথরের সুদৃশ্য গালিচার মধ্যে রয়েছেন বলে অনুভব করবেন। রঙিন পাথরের এইসব পথ যেন গোটা গ্রামকে অপরূপ ও সুশৃঙ্খল বিন্যাসে বিন্যস্ত করেছে। এই পথগুলোর পাথরের রঙ্গের সাথে মিল রেখে সড়কের পাশে ফুটপাথে রংবেরংয়ের আলোক-সজ্জার ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে রাতের বেলায় মনে হবে আলোর বর্ণাঢ্য মিছিলে সমুজ্জ্বল হয়ে আছে পুরো গ্রাম।
Leave a Reply